bartamantripura.com

প্রতিদিনের ত্রিপুরা,বর্তমান ত্রিপুরা – ত্রিপুরার কথা, প্রতিদিনের বার্তা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছেন আন্দ্রে রাসেল, নিজ শহর জামাইকাতেই শেষ ম্যাচ খেলবেন ক্যারিবিয়ান মহাতারকা

📅 ১৬ জুলাই, ২০২৫
✍️ স্পোর্টস ডেস্ক | বার্তামানত্রিপুরা ডট কম


১৫ বছরের গৌরবময় আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষে বিদায় নিচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘোষণা করেছে যে, আগামী ২০ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই রাসেল শেষবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামবেন। এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে জামাইকার সাবিনা পার্কে—রাসেলের নিজ শহর ও হোম গ্রাউন্ডে।

এই ঘোষণাটি এল নিকোলাস পুরানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের কিছুদিন পরই, এবং মাত্র সাত মাস বাকি পুরুষদের টি২০ বিশ্বকাপ শুরু হতে, যা অনুষ্ঠিত হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়।

১৫ বছরের ইতিহাস, দুটি বিশ্বকাপ, অগণিত স্মৃতি

আন্দ্রে রাসেল ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্ট অভিষেক করেন। যদিও টেস্টে তার যাত্রা দীর্ঘ হয়নি, তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনি হয়ে ওঠেন ক্যারিবিয়ানদের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ও বিধ্বংসী অলরাউন্ডার। ৮৪টি টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে রাসেল করেন ১০৭৮ রান এবং শিকার করেন ৬১টি উইকেট। এছাড়াও ৭০টি ওডিআইতে তার ঝুলিতে রয়েছে ১০৩৪ রান ও ৭০ উইকেট।

তিনি ২০১২ ও ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। মাঠে তার আগ্রাসী ব্যাটিং এবং জোরে বোলিং বহু ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এনে দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ জয়।

বিদায় ক্ষণেও গর্বিত রাসেল, আবেগঘন বার্তা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে

বিদায়ের খবর জানিয়ে আন্দ্রে রাসেল বলেন,

“ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন। ছোটবেলায় কখনো কল্পনাও করিনি এই পর্যায়ে পৌঁছাব। কিন্তু খেলতে খেলতে যখন উপলব্ধি করি যে আমি কী করতে পারি, তখন থেকেই লক্ষ্য ঠিক করি—মারুন জার্সিতে একটি চিহ্ন রেখে যাব এবং নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠব।”

তিনি আরও বলেন,

“আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে ভালোবাসি, বিশেষ করে যখন নিজের বাড়ির মাঠে, পরিবারের সামনে খেলতে পারি। এই মুহূর্তগুলো অনন্য। আমি চাই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারটি গর্বের সঙ্গেই শেষ করতে, যেন ভবিষ্যতের ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা আমায় দেখে অনুপ্রাণিত হয়।”

শেষ সিরিজে রাসেলের সঙ্গী কারা? – অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি২০ স্কোয়াড

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল:
শাই হোপ (অধিনায়ক), জুয়েল অ্যান্ড্রু, জেডিয়াহ ব্লেডস, রোস্টন চেজ, ম্যাথিউ ফোর্ড, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেইন, আলজারি জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, এভিন লুইস, গুডাকেশ মোটি, রোভম্যান পাওয়েল, আন্দ্রে রাসেল, শার্ফেন রাদারফোর্ড এবং রোমারিও শেফার্ড।

শেষ কথা

আন্দ্রে রাসেল শুধু একজন ক্রিকেটার নন, ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। তার বিদায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য এক যুগের সমাপ্তি। তবে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তাকে আরও অনেক দিন দেখার আশা রেখেই বিদায় জানাচ্ছে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব।


📌 আরও আপডেটের জন্য চোখ রাখুন বার্তামানত্রিপুরা ডট কমে। সত্য, স্পষ্টতা ও ক্রীড়ার প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতীক।


“ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে বুমরাহকে খেলাতেই হবে”—মন্তব্য দীপ দাসগুপ্তের

📅 ১৬ জুলাই, ২০২৫
✍️ স্পোর্টস ডেস্ক | বার্তামানত্রিপুরা ডট কম


ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র, জসপ্রীত বুমরাহকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টে মাঠে দেখা না গেলে সেটি হবে সিরিজের প্রেক্ষাপটে এক বড় ভুল—এমনই মতপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় উইকেটকিপার ও বিশ্লেষক দীপ দাসগুপ্ত। তাঁর মতে, সিরিজে টিকে থাকতে হলে এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে ঘুরে দাঁড়াতে হলে বুমরাহর মতো বিশ্বমানের বোলারের থাকা অপরিহার্য।

সিরিজের অবস্থা ও বুমরাহর প্রভাব

লর্ডস টেস্টে হারের ফলে ভারত বর্তমানে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে। এখনও দুটি ম্যাচ বাকি, আর এর মধ্যে চতুর্থ টেস্টটি অনুষ্ঠিত হবে ম্যাঞ্চেস্টারে। বুমরাহ এ পর্যন্ত তিন টেস্টের মধ্যে খেলেছেন মাত্র দুইটি, কিন্তু তাতেই তাঁর প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো।

এই দুই টেস্টে বুমরাহ নিয়েছেন ১২টি উইকেট—প্রতিটি ম্যাচেই পাঁচ উইকেট করে। চার ইনিংসে তাঁর বোলিং গড় মাত্র ২১। এমন পারফরম্যান্স যেকোনো কন্ডিশনে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম, এখন মাঠে ফেরার সময়: দীপ দাসগুপ্ত

বুমরাহকে নিয়ে রোটেশন নীতির কথা মাথায় রেখেই এই সিরিজে তাঁকে মাত্র তিনটি টেস্টে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে দীপ দাসগুপ্ত মনে করেন, লর্ডস ও ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের মধ্যে যে সময়ের ব্যবধান রয়েছে, তা বুমরাহর পর্যাপ্ত বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট।

তিনি বলেন—

“জসপ্রীত বুমরাহ শুধু ভারতের নয়, বর্তমানে বিশ্বের সেরা বোলারদের একজন। ওর দলে থাকা মানেই একটা আলাদা ধাঁচে খেলা শুরু হয়। এই মুহূর্তে যখন সিরিজে পিছিয়ে রয়েছি, তখন বুমরাহর অনুপস্থিতি মানেই প্রতিপক্ষের জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি।”

ম্যাঞ্চেস্টার: ভারতের শেষ ভরসার আশ্রয়?

চতুর্থ টেস্টটি ভারতের জন্য কার্যত ‘ডু অর ডাই’। এই ম্যাচ জিততে না পারলে সিরিজে সমতা ফেরানো কঠিন হবে, এমনকি সিরিজ হাতছাড়া হওয়ারও সম্ভাবনা। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই দীপ দাসগুপ্ত মনে করেন, বুমরাহর মত অভিজ্ঞ ও আগ্রাসী পেসারকে বাদ রাখার ঝুঁকি ভারত নিতে পারে না।

শেষ কথা

জসপ্রীত বুমরাহ শুধুই একজন পেসার নন—তিনি ভারতের টেস্ট পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু। ব্যাটারদের উপর লাগাতার চাপ তৈরি, জুটি ভাঙার দক্ষতা এবং বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের জন্য তিনি বিখ্যাত। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে তাঁর না থাকা মানে ভারতের এক বড় হাতিয়ার হারিয়ে যাওয়া।

অতএব, ক্রিকেটপ্রেমী ও বিশ্লেষকদের একটাই প্রশ্ন—বুমরাহ কি ম্যাঞ্চেস্টারে খেলবেন? নাকি রোটেশনের নীতির বলি হবেন ভারতের জয়ের সম্ভাবনা?


📌 আরও আপডেট ও বিশ্লেষণের জন্য চোখ রাখুন বার্তামানত্রিপুরা ডট কমে।