bartamantripura.com

প্রতিদিনের ত্রিপুরা,বর্তমান ত্রিপুরা – ত্রিপুরার কথা, প্রতিদিনের বার্তা।

সরকার রাজন্ন শাসন কালীন ধ্বংসপ্রাপ্ত ঐতিহাসিক সৌধ ও ধর্মীয় পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করছে: মুখ্যমন্ত্রী!


তিনি বলেন, “বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্য ৪,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত পেতে পারে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। আমি এই সীমা বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়েছি এবং কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেছি। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা নিয়মিত কাজ করছি।”

এদিন সিপাহিজলা জেলার কামালাসাগর ও কসবাকালীবাড়ি কমপ্লেক্সে চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়নের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগে জাতীয় সড়ক থেকে কসবেশ্বরী মন্দির পর্যন্ত রাস্তা অত্যন্ত খারাপ ছিল, সেখানে পৌঁছানো কঠিন ছিল। আমি পিডব্লিউডির সচিব ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তার উন্নয়নের ব্যবস্থা করি, যার জন্য প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন খুব সহজেই মন্দিরে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর দিকনির্দেশনায় আমরা কাজ করছি। এবারের বাজেটে প্রায় ৭,০০০ কোটি টাকা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছে।”

রাজ্যের পর্যটন সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরার পর্যটন শিল্পে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আগের সরকার রাজবংশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পর্যটন সৌধগুলিকে ধ্বংস করেছিল। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার সেগুলিকে নতুনভাবে সংরক্ষণ ও উন্নয়নের কাজ করছে।”

ডা. সাহা জানান, এডিবি ছাড়াও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, “টাকা খরচ করলে টাকা আসবেই। পর্যটন খাত সৌন্দর্যায়নের মাধ্যমে বাইরের মানুষ আসবেন, যার ফলে জীবনযাত্রার মান ও জীবিকা উভয়ই উন্নত হবে। আজ যেসব ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নের শিলান্যাস করা হয়েছে, সেগুলোর গুণমান রক্ষার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “কসবেশ্বরী মন্দিরে অনুষ্ঠিত ভাদ্র মেলায় বহু মানুষের সমাগম হয়। তেমনি চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে অনুষ্ঠিত সাত দিনের খারচি উৎসব লক্ষাধিক মানুষের আকর্ষণ কেন্দ্রীভূত করে।”

মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগে পর্যটনকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হলেও বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ ছিল না। বর্তমান সরকার তা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে। এর মাধ্যমে মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।

তিনি উল্লেখ করেন, “কয়েকদিন আগেই উদয়পুরের বন্দুয়ারে ৫১ শক্তিপীঠ পার্কের শিলান্যাস করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ হলে রাজ্যের পর্যটন শিল্প আরও বিস্তৃত হবে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, সিপাহিজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব, বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, পর্যটন সচিব উত্তম কুমার চাকমা, জেলাশাসক ড. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা, পর্যটন উন্নয়ন নিগমের এমডি প্রশান্ত বাদল নেগি সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *