bartamantripura.com

প্রতিদিনের ত্রিপুরা,বর্তমান ত্রিপুরা – ত্রিপুরার কথা, প্রতিদিনের বার্তা।

সংশয় নয়, আস্থা রাখুন: স্মার্ট মিটার নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে প্রচারে TSECL! মন্ত্রী রতন লাল নাথ খুদ প্রচার এ!

বর্তমান ত্রিপুরার নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ২৪ জুলাই, ২০২৫


ত্রিপুরা তথা দেশের বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থাকে আধুনিক ও স্বচ্ছ করে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার Revamped Distribution Sector Scheme (RDSS)-এর অধীনে স্মার্ট মিটার স্থাপনের একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু এই গ্রাহক-বান্ধব প্রকল্পের কার্যকর বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে গুজব ও ভ্রান্ত ধারণা।

এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড (TSECL) রাজ্যজুড়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষ গুজবে কান না দিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে স্মার্ট মিটার গ্রহণ করেন।

❌ মিথ্যা তথ্য: “স্মার্ট মিটার নিয়ন্ত্রণ করবে বেসরকারি সংস্থা”

TSECL স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, এই দাবিটি একেবারেই ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। যদিও কিছু AMI সার্ভিস প্রোভাইডার বা বেসরকারি সংস্থা মিটার সরবরাহ, ইনস্টলেশন ও প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে, তারা সরকার অনুমোদিত স্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে।

তবে স্মার্ট মিটার ও এর যাবতীয় ডেটা নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে TSECL-এর হাতে। গ্রাহকের বিদ্যুৎ ব্যবহার, বিলিং বা সংযোগ সংক্রান্ত কোনও তথ্য বা অধিকার কোনও বেসরকারি সংস্থার হাতে নেই।

💸 মিথ্যা দাবি: “বিলের টাকা যাবে প্রাইভেট কোম্পানির কাছে”

এই ভুল ধারণাটিও সম্পূর্ণ ভুল, জানিয়েছেন TSECL-এর এক কর্মকর্তা। গ্রাহকরা আগের মতোই সরকারি DISCOM প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবেন। কোনও অর্থ বেসরকারি হাতে যাবে না। প্রাইভেট সংস্থার কাজ শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত সহায়তা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।

📜 আইনগত দিক: গ্রাহকের সম্মতি কি লাগবে?

TSECL মনে করিয়ে দিয়েছে, বিদ্যুৎ আইন, ২০০৩-এর ৫৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিদ্যুৎ সংস্থার দায়িত্ব নির্ভরযোগ্য ও টেম্পার-প্রুফ মিটার স্থাপন করা। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (CEA) ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জারি করা গেজেট বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমস্ত নতুন মিটার হতে হবে স্মার্ট মিটার এবং পুরোনো মিটারগুলিকেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপগ্রেড করতে হবে।

🎁 বিনামূল্যে স্মার্ট মিটার, কোনও খরচ নেই!

স্মার্ট মিটার স্থাপনের জন্য গ্রাহকদের থেকে কোনও রকম খরচ নেওয়া হচ্ছে না। পুরো প্রকল্পটি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অধীনে নিয়ন্ত্রিত ও অনুমোদিতভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে ফিডার মিটার, ট্রান্সফর্মার মিটার ও কনজিউমার স্মার্ট মিটার স্থাপনের কাজ চলছে এবং TSECL নিয়মিত মান ও কার্যক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করছে।

⚡ স্মার্ট মিটার মানেই সুবিধা

স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে গ্রাহকেরা পাবেন রিয়েল-টাইম বিদ্যুৎ ব্যবহারের তথ্য, স্বয়ংক্রিয় ও নির্ভুল বিলিং, এবং আরও উন্নত পরিষেবা। ফলে বিল সংক্রান্ত বিভ্রান্তি কমবে, এবং ব্যবহার আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর হবে।

🗣 TSECL-এর বার্তা:

“গুজবে বিশ্বাস করবেন না—সত্য তথ্যের উপর ভরসা রাখুন। কোনও প্রশ্ন বা সমস্যা থাকলে আপনার নিকটবর্তী TSECL অফিসে যোগাযোগ করুন অথবা আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।”

এই প্রযুক্তিনির্ভর, স্বচ্ছ বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে গ্রহণ করে ত্রিপুরার জনগণ শুধু নিজেদের সুবিধা বাড়াচ্ছেন না, বরং ভারতের স্মার্ট শক্তি ভবিষ্যৎ গড়তেও সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন, বলছে TSECL।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *