Agartala, July 15, 2025
নিজস্ব সংবাদদাতা
নির্মম রাজনীতির ময়দান, যেমন অন্যান্য মানবিক কর্মক্ষেত্রগুলোর মতোই, রসিকতা ও হাস্যরসের অভাব নেই—হোক তা কথায় বা কাজে। এমন বহু উদাহরণের মধ্যে, যা বিশেষভাবে নজর কাড়ে তা হলো রাহুল গান্ধীর ‘কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ’-এর সঙ্গে আজকের বিজেপি-শাসিত রাজনীতির তুলনা এবং ‘পাণ্ডব’ ভাইদের সাধু-সন্ন্যাসীরূপে চিত্রিত করে এ কথাটি বলা যে তারা কখনও জিএসটি বা নোটবন্দির মতো সিদ্ধান্ত নিতেন না।
সেই যুদ্ধ হয়েছিল দূর হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে। কিন্তু এদিকে ত্রিপুরায় রাজনীতিবিদদের কটাক্ষভরা মন্তব্য এখন প্রতিপক্ষ দলগুলোর কাছে রীতিমতো হাস্যরসের খোরাক হয়ে উঠছে। এই চিত্র আরও স্পষ্ট করে তোলে সিআইটিইউ নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্তের সাম্প্রতিক মন্তব্য, যেখানে তিনি বিজেপি কর্মী-নেতাদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, “বিজেপির কর্মীরা পার্টির পতাকার খুঁটি হাতে লাঠির মতো করে ঘুরে বেড়ায়, আর তাদের পোস্টারে থাকা হনুমানের ছবি গ্যাঙস্টারের মতো দেখায়।”
শংকর প্রসাদ দত্তের এই ‘হনুমান’-এর চেহারাকে ‘ঠগ’-এর সঙ্গে তুলনার পর বিজেপির কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আজ ৬-আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি কর্মীরা দলের সহ-সভাপতি ও ২০২৩ সালের পরাজিত প্রার্থী পাপিয়া দত্তার নেতৃত্বে এক মৃদু ও শালীন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। পাপিয়া দত্তা কর্মীদের নিয়ে একটি মিছিল করে শংকর প্রসাদ দত্তের আবয়নগরের বাড়িতে পৌঁছান।
সেখানে শংকরবাবু নিজে বাইরে এসে পাপিয়া ও তার সঙ্গীদের মুখোমুখি হন। বিজেপি কর্মীরা তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে একটি হনুমানজীর ছবি ও ‘হনুমান চলিশা’র একটি কপি উপহার দেন। শংকর প্রসাদ দত্ত বলেন, তিনি সেই মন্তব্য করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি হনুমানজীকে শ্রদ্ধা করেন এবং নিয়মিত উপাসক। বিজেপি কর্মীরা তা শুনে শান্তভাবে ফিরে যান এবং বলেন, “আমরা চাই উনি ভালোভাবে হনুমানজীকে জানুন, তারপর মন্তব্য করুন।”
Leave a Reply